পাড়াগাঁয়ে মরিসকে আটকে রাখা মানে তার প্রতিভা বিকাশে বাধা সৃষ্টি, সুজান তা মানে। কিন্তু মুজী বিশ্বাস করে না মরিস কোনও কালে শিল্পী হতে পারবে। একটি অত্যধিক মদ্যপায়ী, মস্তিষ্কবিকৃত অপদার্থ জীব ছাড়া অন্য কোনও ভাবেই সুজান-পুত্র মরিসকে সে দেখতে পারে না। সুজানকেও মুজী শিল্পী বলে মনে করে না। তার কাছে যেমন এখন, শিল্পীদের কাছেও সুজান ছিল এক কালে শুধুমাত্র ভোগের বস্তু। কিন্তু সুজানের ক্রিটিকের চোখ এড়িয়ে যাবে কেমন করে? মরিসের পেইন্টিংয়ে জাত শিল্পের লক্ষণ ষোলো আনা। পুত্র প্রসঙ্গে প্রতিদিনই লেগে আছে তার বাবু মুজীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি। হঠাৎ সুজান বিয়ের কথা পেড়ে বসল। হবে, হবে! আচ্ছা, মরিস পারি ফিরে এলে সুজান খুশি হবে তো! বলা বাহুল্য, মরিস মুক্তি পেল পাগলা গারদ থেকে নয়, মমাইনীর গ্রাম আবহাওয়া থেকে। আবার সে ঢুকেছে তার রু করতোর স্টুডিয়োতে।