
বাঙালির অনন্ত দুর্দশার মধ্যে সুকুমার এক টুকরো অনাবিল প্রাপ্তি। একশো
পঁচিশ পেরিয়েও তিনি সমান সমকালীন। তাঁর মতো আর কাউকে বাঙালি
এতদিনে অর্জনও করতে পারল না। একশো পঁচিশ পেরিয়ে না পু
রানো হল তাঁর
হাস্যরস, না তাঁর হাস্যরসিকের তকমা। নাগরিক কবিয়ালকে ভাবালেও আম
বাঙালিকে তিনি ভাবাতে পেরেছেন কি শিশুসাহিত্যিকের রঙচঙে জামাটিতে তাঁকে
আঁটসাঁট লাগে? তাঁর সৃষ্ টিকে নিছক শিশুসাহিত্য বললে তাঁর প্রতিভাকেই শুধু
অবমূল্যায়ন করা হয় না, ‘শিশুসাহিত্য’ বর্গটিকেও হয়তো তুচ্ছ করা হয়। নিছক
শিশুসাহিত্য করতে গিয়ে ‘বৈজ্ঞানিক সংস্কৃতির গাম্ভীর্য’ তিনি ত্যাগ করেননি।
বাবা উপেন্দ্রকিশোরের মু
দ্রণ-চিন্তনকে তিনি শুধু এগিয়েই নিয়ে যাননি, যোগ
করেছেন উন্নততর মান।
