
‘সোনার দিনার নেই, দেনমোহর চেয়োনা হরিণী / যদি নাও, দিতে পারি কাবিনবিহীন হাত দু’টি’। বাংলা কবিতার উল্লেখযোগ্য মাইলস্টোন হিসেবে যে সমস্ত কাব্যগ্রন্থগুলিতে গ্রাহ্য করা হয়, ‘সোনালি কাবিন’ তাদেরই অন্যতম। জীবনানন্দ পরবর্তী সময়ে স্বকীয় ভাষা ও ভঙ্গিমায় বাংলা কবিতায় স্বতন্ত্র একটি জায়গা দখল করেছেন কবি আল মাহমুদ। এই মুহুর্তে সামগ্রিক বাংলাসাহিত্যে অত্যন্ত আলোচিত নাম কবি আল মাহমুদ। গদ্য সাহিত্যেও রয়েছে তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদান। সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়ের সম্পাদনায় বিখ্যাত মিনিবুক সিরিজে ১৯৬৯ সালে প্রকাশিত হয় ‘সোনালি কাবিন ‘-এর ১৪টি সনেট। ‘সোনালি কাবিন’ প্রকাশিত হবার পরপরই নতুন প্রজন্মের কবি ও কবিতা পাঠকের কাছে বইটি বিশেষভাবে সমাদৃত হয়। আল মাহমুদের কবিতা ও তাঁর কবিতাদর্শন ঘিরে উৎসাহের শুরুও তখন। রোমান্টিক ‘সোনালি কাবিন’-এর অনবদ্য কবি এই কাব্যগ্রন্থেই তাঁর প্রিয়তমার কাছে আবেদন জানিয়েছেন, ‘আরশিনগরে খোঁজা বাস করে পড়শী যে-জন / আমার মাথায় আজ চূড়ো করে বেঁধে দাও চুল / তুমি হও একতারা, আমি এক তরুণ লালন।’
