


কার্টুন কথাটি ইংরেজি। কার্টুনের বাংলা করা মুশকিল, ব্যঙ্গচিত্র? ব্যঙ্গচিত্র বললে কার্টুন সম্বন্ধে সঠিক ধারনা হয় না। ইংরেজি পণ্ডিতেরাও কার্টুনের সঠিক ব্যাখ্যা করতে পারেননি, ক্যারিকেচার সম্বন্ধে ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দে জনৈক চিত্র বিশারদ, বলেছেন অতিরঞ্জন বা অনুরঞ্জনের দ্বারা ব্যক্তিবিশেষের রূপ হাস্যকর বা বীভৎস করে তোলার নাম কার্টুন। বিদগ্ধজনেরা এই সংজ্ঞা স্বীকার করে নিয়ে এতদিন কাটিয়ে এসেছেন। কিন্তু সমকালীন কার্টুনিস্ট রা প্রশ্ন তুলেছেন-সংজ্ঞাটি ক্যারিকেচারের হতে পারে কিন্তু কার্টুন তাহলে কি? একজন সমালোচক ব্যাখা করলেন 'যুক্তি পূর্ণ ভাবে প্রতীকের মাধ্যমে কোনও ভাবের চিত্ররূপই হল কার্টুন।' সমকালীন চিত্রকলারও ওই একই ব্যখ্যা। কিন্তু সমকালীন সুকুমার চিত্রকলা এবং কার্টুন নিশ্চয় এক নয়।
এ বছর তাঁর জন্ম শতবর্ষে তাঁকে নানা রূপে পাঠকের সামনে তুলে ধরাই এই বইয়ের মূল উদ্দেশ্য। জীবন তাঁকে অনেক শিখিয়েছে। সে সব থেকে গেছে তাঁর কাজে, তাঁর বহুমুখীনতায়, তাঁর রেখায়।
বিভিন্ন লেখায় বিশিষ্টজনেরা তুলে ধরেছেন অহিভূষণের বিভিন্ন রূপ। কখনও ব্যঙ্গচিত্রী, কখনও শিল্প সমালোচক, কখনও সংগঠক। আবার সব ছেড়েও কখনও দরাজ কণ্ঠের সুগায়ক। সবাইয়ের স্মৃতি একটি একটি করে গেঁথে নির্মাণ করা হয়েছে একটি পূর্ণাঙ্গ মূর্তি অহিভূষণ মালিক-এর।
নজরুল