
গুলি করে তাঁর লাশ খালে ভাসিয়ে দেওয়ার আগে শেষ লেখায় জার্মান শাসকদের বুকে কাঁপন ধরিয়ে তিনি লিখেছিলেন: তোমরা বলছ ‘শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে বার্লিনে!’ তোমাদের ‘শৃঙ্খলা’ বালির উপর তৈরি। আগামীকাল বিপ্লব ‘আবার মাথা তুলে দাঁড়াবে, বের করবে তার হাতিয়ার,’ এবং তোমাদের বুকে কাঁপন ধরিয়ে শঙ্খনিনাদে ঘোষণা করবে: আমি ছিলাম, আমি আছি, আমি থাকব! লাল ঝান্ডা পত্রিকার সম্পাদকীয়তে এই শঙ্খনিনাদের একদিন বাদেই ‘রেড রোজা’র শহীদীবরণ। ভ্লাদিমির লেনিনের কাছে রোজা ছিলেন‘ঈগলপ্রতিম’। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়, দ্বিতীয় আন্তর্জাতিকে বিশ্বাসঘাতকদের বিরুদ্ধে একসঙ্গে দৃঢ় লড়াই চালিয়েছিলেন দু’জনে। তাঁদের মধ্যে নির্দিষ্ট মতবিরোধ ছিল। আবার একইসঙ্গে ছিল আন্তর্জাতিক প্রলেতারিয় ঐক্য। শওকৎ ওসমানী যখন মস্কোর কমিন্টার্ন দপ্তরে স্তালিনের ঘরে প্রবেশ করেছিলেন, তখন দেওয়ালে মার্কস-এঙ্গেলসের সঙ্গেই দেখেছিলেন কার্ল লিবনেখেট আর রোজার প্রতিকৃতি। ইএমএসের ভাষায়, রোজার ‘ভ্রান্তিগুলি সত্ত্বেও বিশ্বজুড়ে সর্বহারা বিপ্লবের জন্য তিনি এক রোল মডেল।’ কমরেড ক্লারার কথায়, রোজা ‘ছিল একটি তরবারি, সে ছিল বিপ্লবের আগুন। আন্তর্জাতিক সমাজতন্ত্রের ইতিহাসে মহত্তম ব্যক্তিত্বদের একজন হয়ে
থাকবে রোজা।’