এ কাহিনি দুরন্ত এক বালকের ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়ার গল্প। বাবা মহাদেব শর্মণ ছিলেন রাগী মানুষ। স্থবির যতদিন বাড়িতে ছিল, এমন একদিনও যায়নি যে বাবার শাসনসেবা থেকে সে বঞ্চিত হয়েছে।
দাদা বাড়ি ছেড়েছিল একরকম সেই কারণেই। স্থবির ছাড়ল নিজের পায়ে দাঁড়াতে। সে চায় ব্যবসা করতে। বুকে অদম্য সাহস নিয়ে, বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে পাড়ি দিল অজানার দেশে। পড়ে রইল ভাই অস্থির, গোষ্ঠদিদি, আর তার লতু।…
এরপর কখনও বোম্বে-বেনারস-পাটনা, তো কখনও দিল্লি, কখনও বা আমেদাবাদ―স্থবির ঘুরে বেড়িয়েছে নানান জায়গায়। পরিচয় ঘটেছে হরেক মানুষের সঙ্গে। কেউ আপন করে নিয়েছে আবার, কেউ বসিয়েছে ছোরা। কৈশোর অবধি এভাবেই কেটেছে তার জীবন। তারপর সে কি ফিরতে পেরেছে তার ঘরে, তার কলকাতায়?
চারটি পর্বে প্রেমাঙ্কুর আতর্থী বুনেছেন এমন সত্যি যা কল্পনাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। এককথায় ‘মহাস্থবির জাতক’ নিছক স্মৃতিকথা নয়, ইতিহাস দর্শন।