
‘কোনি’ উপন্যাসটি কলকাতার শহরতলি এলাকার কোনি নামের একটি মেয়েকে কেন্দ্র করে, যে তার প্রশিক্ষক ক্ষিতীশ সিংহের সহায়তায় দারিদ্র্য ও কঠোর পরিস্থিতিকে জয় করে একজন সফল সাঁতারু হয়ে ওঠে। কোনির এই সাফল্য যে আদতে প্রতিকূল জীবনসমুদ্র অতিক্রম করে যাওয়ার— সেই উপলব্ধি পাঠকেরও হয় মতি নন্দীর এই কাহিনির ভিতর দিয়ে যেতে যেতে। কিশোর হোক বা প্রবীণ, সব বয়সের পাঠকের কাছেই এই উপন্যাস গভীর প্রেরণাদায়ক ও অনন্য। ক্ষিদদা (ক্ষিতীশ সিংহ) একজন সাঁতারের প্রশিক্ষক যিনি সুবিধাবঞ্চিত বাচ্ছাদের সাঁতার শেখাতে বিশেষভাবে আগ্রহী। তিনিই কোনিকে ডেকে আনেন ‘ন্যাশনাল সুইমিং চ্যাম্পিয়নশিপে’ যোগ দিতে এবং তাকে ‘বেঙ্গল সুইমিং টিম’-এও ভর্তি করান। অক্লান্ত, অকাগ্র প্রশিক্ষণ, যত্ন ও উৎসাহদানে কোনিকে পারদর্শী করে তোলেন পেশাদার সাঁতারু হিসেবে। শুধু জল না, তাঁদের উভয়কেই পেরোতে হয় ক্রীড়াদুনিয়ার দুর্নীতি, বৈষম্য ও সামাজিক নানা বাধা।