
KALIGUNINER KISTIMAT 2 (Bengali, Paperback, Soumik Dey)
কালীগুণীন এবং দানবের মণি:- মাটির মূর্তি গড়ায় সনাতনের নাম দেশজোড়া। সেই সনাতনের হাতে দৈবক্রমে এসে পড়লো এমন এক পৌরাণিক দিব্য বস্তু, যাকে যুগযুগ ধরে মানবসভ্যতায় অলীক বলে ভেবে আসা হয়েছে, অথচ যার সন্ধানে আদিকাল থেকেই মুনীঋষি থেকে আরম্ভ করে দেব, দানব, রাক্ষস এবং মানুষেরা ঘুরে বেরিয়েছে হাজার হাজার বছর ধরে। সনাতনের হাতে এসে পড়া সেই অসাধারণ শক্তির কথা জানতে পারলো দুর্দান্ত কাপালিক চিত্রক এবং সনাতনের উপরে নেমে এলো অন্ধকার এক মরণপাশ। কালীগুণীন কি পারবে সেই পৌরাণিক রহস্য উদ্ধার করতে? কালীগুণীন এবং করালদংষ্ট্রা রহস্য:- পুরাণে যে মহা মারণাস্ত্রের নাম শোনা মাত্র দেবতা, দানব, যক্ষ, রক্ষ, পিশাচ এবং দৈত্যেরা অবধি কাঁপতে কাঁপতে হাতজোড় করে বসে পড়ে, সেই মহামারী অস্ত্রের একটা অংশ হঠাৎ করেই মানবসভ্যতায় উন্মুক্ত হয়ে পড়লো এক পুরাতাত্ত্বিক খননকার্যের ফলে। তারপর? তারপর আরম্ভ হলো নরমেধের পালা। মানুষেরা মরতে আরম্ভ করলো এক অদ্ভুত পদ্ধতিতে! কালীগুণীন কি পারলো সেই দেবতারও অনিবার্য্য শক্তিকে নিজের অসামান্য বুদ্ধি দ্বারা নিবারণ করতে? কালীগুণীন এবং ভস্মাসুরের শাপ:- শিবঠাকুর আর ভস্মাসুরের সেই আদিম গল্প শুনেছো তো? সেই দানব শিবের বরে বলীয়ান হয়ে গোটা চরাচরকে ভস্মীভূত করে ফেলার ক্ষমতা লাভ করেছিল। আচ্ছা, এই "বরলাভ" নামে কথিত শক্তিগুলো কি আদৌ কোনো বরদান? নাকি কোনও গোপন বিদ্যা? যে বিদ্যা বিনষ্ট হয়েও পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়না পৃথিবী থেকে? সেইরকমই এক প্রলয়ংকরী মহাবিদ্যা "বজ্রসম্ভব" এর সন্ধান পেয়ে কাপালিক চন্ড হয়ে উঠলো অপরাজেয়। চন্ডের প্রতি তাঁর গুরুর আশীর্বাদ ছিল যে সে অপরের হাতে কখনও মরবে না। কালীগুণীন কি পারবে এই অদম্য শক্তির আধার চন্ডকে পরাস্ত করতে? কালীগুণীন এবং পিশাচের নখ:- আচ্ছা, ঘড়ি জিনিসটা ঠিক কতটা আধুনিক আবিষ্কার বলে মনে হয়? সুন্দরবনের শেষপ্রান্তে এক ক্ষুদ্র গাঁ চড়ুইপোঁতা। সে গাঁয়ের মাটিতে, বাতাসে বধ্যভূমির ন্যায় কাঁচা রক্তের গন্ধ ভেসে বেড়ায়। এই চড়ুইপোঁতা থেকেই এক অভিশপ্ত দ্বীপে জড়িবুটির সন্ধানে এবং তদুপরি পুরাকালের কোনও এক পিশাচের তৈরী ভয়ানক ঘড়ির মতো যন্ত্রের লোককথা শুনে ছোট দল নিয়ে নৌকা ভাসিয়েছিলেন এক নামজাদা কবিরাজ। গাঁয়ের লোকেরা ওই দ্বীপকে "শয়তানের দ্বীপ" নামে ডাকে। সেখানে নাকি অজস্র শয়তানের দল নিঃসাড়ে ঘুমিয়ে রয়েছে। কবিরাজের পদার্পণে কি তবে ঘুম ভেঙেছে সেই কাঁচাখেগো অপদেবতাদের? কালীপদ কি ফের পারবে সেই হিংস্র অভিশাপকে বিনষ্ট করতে? কালীগুণীন ও পঞ্চবাণ রহস্য:- সুবা উড়িষ্যার মহেন্দ্রগিরি পর্বতের জঙ্গলের এক গ্রামে একটা অত্যাশ্চর্য মন্দির! সে মন্দিরে আদিকাল থেকে একটা লোককথা চলে আসছে যে তার ভিতরে নাকি কোনও একটা মহা বলশালী জীব লুকিয়ে রয়েছে। সে মন্দিরের আশপাশে কোনও শব্দ করা নিষিদ্ধ। মন্দিরের বাইরে বিরাট বিরাট পায়ের ছাপ দেখে মনে হয় যেন বহুযুগ পূর্বে কোনও এক বিকট দেহধারী জীব মন্দিরে প্রবেশ করেছিল, কিন্তু………সে আর বাইরে আসেনি কখনও। সেই মূর্তিকে গ্রামে এনে প্রতিষ্ঠা করাই সর্বনাশ ডেকে আনলো অনন্ত সিংহের পরিবারে। এক নৃশংস, ধূর্ত তান্ত্রিকের অভিনব মারণকৌশল এবং অনন্তর পরিবারকে রক্ষা করতে কালীগুণীনের অমোঘ কূটবুদ্ধির লড়াই কি শেষ অবধি পারবে পঞ্চবাণের আশ্চর্য রহস্য ভেদ করতে? কালীগুণীন এবং দানবের মণি:- মাটির মূর্তি গড়ায় সনাতনের নাম দেশজোড়া। সেই সনাতনের হাতে দৈবক্রমে এসে পড়লো এমন এক পৌরাণিক দিব্য বস্তু, যাকে যুগযুগ ধরে মানবসভ্যতায় অলীক বলে ভেবে আসা হয়েছে, অথচ যার সন্ধানে আদিকাল থেকেই মুনীঋষি থেকে আরম্ভ করে দেব, দানব, রাক্ষস এবং মানুষেরা ঘুরে বেরিয়েছে হাজার হাজার বছর ধরে। সনাতনের হাতে এসে পড়া সেই অসাধারণ শক্তির কথা জানতে পারলো দুর্দান্ত কাপালিক চিত্রক এবং সনাতনের উপরে নেমে এলো অন্ধকার এক মরণপাশ। কালীগুণীন কি পারবে সেই পৌরাণিক রহস্য উদ্ধার করতে? কালীগুণীন এবং করালদংষ্ট্রা রহস্য:- পুরাণে যে মহা মারণাস্ত্রের নাম শোনা মাত্র দেবতা, দানব, যক্ষ, রক্ষ, পিশাচ এবং দৈত্যেরা অবধি কাঁপতে কাঁপতে হাতজোড় করে বসে পড়ে, সেই মহামারী অস্ত্রের একটা অংশ হঠাৎ করেই মানবসভ্যতায় উন্মুক্ত হয়ে পড়লো এক পুরাতাত্ত্বিক খননকার্যের ফলে। তারপর? তারপর আরম্ভ হলো নরমেধের পালা। মানুষেরা মরতে আরম্ভ করলো এক অদ্ভুত পদ্ধতিতে! কালীগুণীন কি পারলো সেই দেবতারও অনিবার্য্য শক্তিকে নিজের অসামান্য বুদ্ধি দ্বারা নিবারণ করতে? কালীগুণীন এবং ভস্মাসুরের শাপ:- শিবঠাকুর আর ভস্মাসুরের সেই আদিম গল্প শুনেছো তো? সেই দানব শিবের বরে বলীয়ান হয়ে গোটা চরাচরকে ভস্মীভূত করে ফেলার ক্ষমতা লাভ করেছিল। আচ্ছা, এই "বরলাভ" নামে কথিত শক্তিগুলো কি আদৌ কোনো বরদান? নাকি কোনও গোপন বিদ্যা? যে বিদ্যা বিনষ্ট হয়েও পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়না পৃথিবী থেকে? সেইরকমই এক প্রলয়ংকরী মহাবিদ্যা "বজ্রসম্ভব" এর সন্ধান পেয়ে কাপালিক চন্ড হয়ে উঠলো অপরাজেয়। চন্ডের প্রতি তাঁর গুরুর আশীর্বাদ ছিল যে সে অপরের হাতে কখনও মরবে না। কালীগুণীন কি পারবে এই অদম্য শক্তির আধার চন্ডকে পরাস্ত করতে? কালীগুণীন এবং পিশাচের নখ:- আচ্ছা, ঘড়ি জিনিসটা ঠিক কতটা আধুনিক আবিষ্কার বলে মনে হয়? সুন্দরবনের শেষপ্রান্তে এক ক্ষুদ্র গাঁ চড়ুইপোঁতা। সে গাঁয়ের মাটিতে, বাতাসে বধ্যভূমির ন্যায় কাঁচা রক্তের গন্ধ ভেসে বেড়ায়। এই চড়ুইপোঁতা থেকেই এক অভিশপ্ত দ্বীপে জড়িবুটির সন্ধানে এবং তদুপরি পুরাকালের কোনও এক পিশাচের তৈরী ভয়ানক ঘড়ির মতো যন্ত্রের লোককথা শুনে ছোট দল নিয়ে নৌকা ভাসিয়েছিলেন এক নামজাদা কবিরাজ। গাঁয়ের লোকেরা ওই দ্বীপকে "শয়তানের দ্বীপ" নামে ডাকে। সেখানে নাকি অজস্র শয়তানের দল নিঃসাড়ে ঘুমিয়ে রয়েছে। কবিরাজের পদার্পণে কি তবে ঘুম ভেঙেছে সেই কাঁচাখেগো অপদেবতাদের? কালীপদ কি ফের পারবে সেই হিংস্র অভিশাপকে বিনষ্ট করতে? কালীগুণীন ও পঞ্চবাণ রহস্য:- সুবা উড়িষ্যার মহেন্দ্রগিরি পর্বতের জঙ্গলের এক গ্রামে একটা অত্যাশ্চর্য মন্দির! সে মন্দিরে আদিকাল থেকে একটা লোককথা চলে আসছে যে তার ভিতরে নাকি কোনও একটা মহা বলশালী জীব লুকিয়ে রয়েছে। সে মন্দিরের আশপাশে কোনও শব্দ করা নিষিদ্ধ। মন্দিরের বাইরে বিরাট বিরাট পায়ের ছাপ দেখে মনে হয় যেন বহুযুগ পূর্বে কোনও এক বিকট দেহধারী জীব মন্দিরে প্রবেশ করেছিল, কিন্তু………সে আর বাইরে আসেনি কখনও। সেই মূর্তিকে গ্রামে এনে প্রতিষ্ঠা করাই সর্বনাশ ডেকে আনলো অনন্ত সিংহের পরিবারে। এক নৃশংস, ধূর্ত তান্ত্রিকের অভিনব মারণকৌশল এবং অনন্তর পরিবারকে রক্ষা করতে কালীগুণীনের অমোঘ কূটবুদ্ধির লড়াই কি শেষ অবধি পারবে পঞ্চবাণের আশ্চর্য রহস্য ভেদ করতে?
