এই মুহূর্তে এক স্মৃতিহীন মানুষ হেমকান্তি- কাউকেই তিনি চিনতে পারছেন না। কেউ যেন স্লেট মুছে ফেলার মতো সব কিছু মুছে ফেলছে তাঁর মস্তিষ্ক থেকে। কিছু কবিতার পঙ্ক্তি, কিছু গানের কলি, কিছু টুকরো দৃশ্য কেটে যাওয়া রেকর্ডের মতো তাঁর মনের মধ্যে যেন ফিরে ফিরে আসছে। তিনি সদ্য আত্মহত্যা করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন, তারই পরিণতি এই স্মৃতিনাশ। সত্তর দশকের নকশাল আন্দোলনের সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন। পাঁচ বছর আগে পুরুলিয়ায় খুন হন অতীত নকশালকর্মী বরুণ ঘোষদস্তিদার। সেদিন সঙ্গী হেমকান্তিই কি খুন করেছিলেন তাঁকে? ঘন কুয়াশার মতো পুঞ্জীভূত এক বিস্মৃতি থেকে হেমকান্তি আলোয় ফিরতে চাইছেন। ওঁর কাছের মানুষ জয়ী কি সেই আলো হতে পারে? যে-রাজনৈতিক বিশ্বাসকে হেমকান্তি একদা মুক্তির আলো মনে করেছিলেন, সেই আলোই কি আছে আজকের মাওবাদী আন্দোলনে? মাওবাদীদের একজনের সঙ্গে পুরুলিয়ার পথে যেতে যেতে জয়ী ও হেমকান্তি কোন সত্যকে আবিষ্কার করলেন!