
কলিঙ্গ যুদ্ধের শেষ দিন। রক্ত স্রোত বয়ে নিয়ে যাচ্ছে দয়া নদী। বেলাশেষে
সম্রাট অশোকের মনেও এক অদ্ভুৎ বিষন্নতার ছায়া। এমনই এক ভারাক্রান্ত
মু
হুর্তথেকে গুপ্তজ্ঞান উপন্যাসের যাত্রা শুরু। কলিঙ্গ যুদ্ধের লোকক্ষয়ে অশান্ত
অশোক শান্তিলাভের উদ্দেশ্যে বৌদ্ধধর্মেদীক্ষা নিলেন সন্ন্যাসী উপগুপ্তের কাছে।
তাঁরই উপদেশানুসারে কলিঙ্গ রাজকুমারী কারুবকীর পানিগ্রহণ করে পাটলীপুত্রে
প্রত্যাবর্তন করেন। তাঁর মানসিক পরিবর্তনের প্রত্যক্ষ প্রভাব হিসেবে মগধে
নিষেধ হল বলি। এর ফলে রাজ্যের তান্ত্রিক ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ল
অসন্তোষ। রাজপ্রাসাদের অলিন্দে শুরু হল এক ভয়ংকর ষড়যন্ত্র! ষড়যন্ত্রের
জাল বুনলেন একদা অশোকের রাজসভার প্রধান পুরোহিত তান্ত্রিক মহাকাল।
এক বিশেষ জ্ঞানের অধীকারি হতে চান তিনি, যে জ্ঞান তাকে অপরাজেয় করে
তুলবে, অমরত্ত্ব লাভ করবেন তিনি।
সেই জ্ঞানের আধার হস্তক্ষেপের জন্য একের পর এক বৌদ্ধ ভিক্ষুকে হত্যা করতে শুরু করলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারলেন কি গুপ্তজ্ঞান লাভ করতে?
একদিকে গভীর ষড়যন্ত্র, লালসা ও প্রতিশোধের অদম্য জিঘাংসা এবং
একই সঙ্গে অন্ধকার থেকে আলো, হিংসা ছেড়ে শান্তির পথে যাত্রার এক
অনন্য কাহিনী হল গুপ্তজ্ঞান।
উপন্যাসে ইতিহাসের সঙ্গে মিলিমিশে গিয়েছে মিথ ও লোকশ্রুতি।
গুপ্তজ্ঞান আসলে কী কাদের কাছে সংরক্ষিত থাকে সেই জ্ঞান? সেই
জ্ঞান লাভের যোগ্য অধিকারী বা কে?
উত্তর দিয়েছে এই উপন্যাস
