![Chandrakanta [Babu Debki Nandan Khatri, Tr. Simran Das]](files/Chandrakanta.jpg)
লেখক দেবকীনন্দন খত্রী তার একটা উক্তিতে বলেছিলেন যে কোন যুদ্ধে জয়লাভ করতে গেলে রননীতিই প্রথম এবং অন্তিম বিকল্প হওয়া উচিত, সংখ্যা দিয়ে যুদ্ধকে এড়ানো সম্ভব জেতা সম্ভব নয়। চন্দ্রকান্তা উপন্যাস পড়তে এই কথার অর্থটা মর্মে মর্মে পাঠক উপলব্ধি করতে পারবেন।
হ্যারি পটারের কথা কিংবা গেম অফ থ্রোনের কথা অনেকেই চর্চা করেন কিন্তু এইসব লেখার বহু আগে ভারতবর্ষের একজন লেখক চন্দ্রকান্তা নামে একটা বই রচনা করেছিলেন, বইটার মধ্যে কি ছিল না? ফ্যান্টাসি, ফিকশান, বীরত্ব, রাজনীতি, রাজতন্ত্রের কূটনীতি, চক্রান্ত প্রেম লোভ লালসা সব কিছু নিয়েই ভরপুর ছিল -চন্দ্রকান্তা - তারপরেরও খন্ডগুলো চন্দ্রকান্তা সন্ততি রুপে আছে মোট ৬ টা সন্ততি একটা চন্দ্রকান্তা
বইটির ব্যাপারে যতটাই প্রশংসা করা হোক ততটাই কম একবার পড়লে শুরু করলে ছেড়ে ওঠার জো থাকে না। বইটা পড়ার জন্য বহু লোক হিন্দি ভাষা শিখেছিলেন। বইটার সম্পর্কে একটা মিথ প্রচলিত আছে মোট ৭ খন্ডের চন্দ্রকান্তা ও সন্ততি যে মন দিয়ে পড়বে এবং অনুধাবন করবে, সে জীবনে চট করে কোন মায়াজালে প্রভাবে প্রভাবিত হবে না এবং তাকে কেউ ঠকাতে পারবে না।
এই বইতে বইতেই লেখক গোটা হিন্দি সাহিত্যকে দুটো অসাধারণ শব্দ উপহার দিয়েছিলেন একটি হচ্ছে আই আর একটি হচ্ছে তিলিসইম আইয়ার শব্দের অর্থ হচ্ছে খানিকটা ম্যাজিশিয়ান, বীর ছদ্মবেশ ধারন করতে পারে এবং অন্যের মত রুপ বদলাতে পারে গুপ্তচরবৃত্তিতে ওস্তাদ এই রকম ব্যক্তি, তিলিসইম শব্দের অর্থা মায়া, ইন্দ্রজাল জাদুবিদ্যা এই ধরনের।
চন্দ্রকান্তা বইটার মধ্যে প্রচুর উর্দু শব্দ আছে যার জন্য এই বইটা পড়ে মানে বুঝতে গেলে হিন্দি ভাষাটা খুব ভালো জানতে হবে ।অনুবাদিকা সিমরান দাস চন্দ্রকান্তার বাংলাতে অনুবাদ করেছেন এখন এই অসাধারন রচনার স্বাদও অগুনতি বাঙালী পাঠক নিতে পারবেন।