![Biva [Jibanananda Das]](files/Biva_Cover-front.jpg)
![Biva [Jibanananda Das]](files/Biva_Cover-back.jpg)
![Biva [Jibanananda Das]](files/395446076_337291158819618_5134204444368223141_n.jpg)
১৯৩৩-এর জানুয়ারি। জীবনানন্দ লিখতে শুরু করেন একটি গল্প। ভাবনা ছিল তিনটি আলাদা আলাদা গল্প লেখার। প্রথমটি শেষ হলে ওই খাতাতেই তিনি আরম্ভ করেন দ্বিতীয় গল্পটি। কিন্তু এই দ্বিতীয় গল্পটিই চলতে থাকে আরও তিনটি খাতা জুড়ে। শেষতম খাতাতে এসে তিনি নিজেই ঘোষণা করেন, 'Biva— a novel'। তাঁর অন্যান্য উপন্যাসের থেকে সবদিক দিয়েই এটি আলাদা। মেসের একটি ঘরের জানালা থেকে পাশের বাড়ির এক মেয়েকে নিরীক্ষণ করেন লেখক। এইটুকু পরিচয় পেতেই যাঁদের মনে পড়ছে উপন্যাসটি পাঠের পূর্বস্মৃতি, তাঁদের জন্য বিশেষ সতর্কীকরণ—পত্রিকা কিংবা বইয়ের পাতায় এতদিন যে ‘বিভা’ উপন্যাস আপনি পড়েছিলেন তা সর্বার্থেই খণ্ডিত, অসম্পূর্ণ। কেন এ-কথা বলা হচ্ছে? কারণ, প্রথম খাতায় লেখা উপন্যাসের 'মুখড়া' অংশ এবং অপ্রকাশিত চতুর্থ খাতার সম্পূর্ণ অংশ, প্রথম আপনি পড়বেন। এযাবৎ অপ্রকাশিত এই শেষাংশটি ছাপায় প্রায় পঞ্চাশ পৃষ্ঠা। আর, আপনি প্রথম পড়বেন 'বিভা'-র মূলানুসারী পাঠ। কেন আমরা মূলানুগ বলছি? বিভা ও রুস্তমজীর সংলাপে জীবনানন্দ পাণ্ডুলিপিতে লিখছেন :
—টেবিলের ওপর কুর্চ্চি ফুল?
—হ্যাঁ
—ভারী চমৎকার—
আর পত্রিকা ও বইতে এই সংলাপটি ছাপা হয়েছে :
—‘টেবিলের ওপর ভূমিষ্ঠ হল?’
—‘হ্যাঁ।’
—‘ভারি চমৎকার।’
আংশিকভাবে মুদ্রিত উপন্যাসে এ-রকম নমুনা অজস্র।
এই সংস্করণে বেশ কয়েকটি প্রয়োজনীয় টীকাও যুক্ত হয়েছে।