ভারতবর্ষের এই পবিত্র ভূমিতে যুগে যুগে বহু মহামানবের আগমণ হয়েছে। তারা নিজেদের কর্ম সম্পন্ন করে ফিরে গেছেন। ইতিহাস তাদের কাউকে মনে রেখেছেন, আবার অনেককে বিস্মৃতির অতলে মুছে দিয়েছেন। এই উপন্যাসটির মাধ্যমে ইতিহাসের এরকমই একজন বিস্মৃত মহামানবের কথাই তুলে ধরার প্রচেষ্টা করা হয়েছে। আজ থেকে প্রায় পাঁচশো বছর আগে নদীয়ার নবদ্বীপ ধামের পূণ্যভূমিতে জন্ম হয়েছিল বিশ্বরূপের।
শ্রী চৈতন্যের অগ্রজ বিশ্বরূপের শঙ্করারণ্য পুরীতে পরিণত হওয়া এবং তার কর্মকাণ্ডের বিস্তৃত বর্ণনা তুলে ধরার হয়েছে এই উপন্যাসের মাধ্যমে। বিশ্বরূপ তথা শঙ্করারন্য পুরীর জীবনকে একমাত্র গুপ্তচরদের সাথে তুলনা করা যায়। বিভিন্ন ভাষায় দক্ষ এই মানুষটি গোটা ভারতের স্থানীয় মানুষদের সাথে মিলেমিশে যেভাবে অত্যন্ত গোপনে নিজের কর্মকান্ডকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন এবং সারা ভারতের মানুষকে একে অপরের সাথে যুক্ত করেছিলেন। যুগ যুগ ধরে এই মহান ভারতভূমির বুকে বিশ্বরূপের মতো রহস্যময় মানুষের আগমন হয়েছে। বিশ্বরূপ তথা শঙ্করারন্য পুরীর এই রহস্যময় কর্মকান্ডকে তুলে ধরার পাশাপাশি বর্তমান পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের বুকে চোরাস্রোতের মত বয়ে চলা কিছু গুপ্তসাধনার রহস্যময় দিকটিও তুলে ধরা হয়েছে। বহু বৈচিত্র্যের মধ্যেও ঐক্যতানের যে শেকড়টি মাটির অত্যন্ত গভীরে লুকিয়ে আছে, ভারতীয় সংস্কৃতির সেই শেকড়কে তুলে ধরার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা করা হয়েছে।
এই উপন্যাসে একজন আধুনিক মানুষের অক্ষিদর্পণে ধরা দিয়েছেন অতীতের এক মহামানব ।
প্রসঙ্গত, উপন্যাসটির সকল চরিত্র কাল্পনিক নয়।
