


শুরুটা ছিল খুবই সাধারণ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকোলজি ডিপার্টমেন্টের ছাত্রী ঋতুর জন্য খানিকটা উত্তেজনারও। হাজার হলেও প্রথম চাকরির ইন্টারভিউ। কিন্তু শুরুটা আর দশটা সাধারণ ইন্টারভিউয়ের মতো হলেও দ্রুতই সেটা রূপ নিল ভিন্ন কিছুতে। ঋতুর সঙ্গে পরিচয় হল রহস্যময় এক অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসরের, ঘোলাটে চশমার আড়ালে লুকোনো চোখের রহস্যময় এক ব্যক্তি। প্রথম চাকরির অ্যাসাইনমেন্ট হিসেবে ঋতুকে দেওয়া হল পুরোনো এক কেস ফাইল, যেখানে কয়েক বছর আগে নিজের বাগদত্তাকে হারিয়ে উন্মাদ হয়ে যাওয়া একটি ছেলের কেস সলভ করতে হবে তাকে। প্রথম অ্যাসাইনমেন্টে এরকম এক প্রেম-কাহিনি ধরিয়ে দেয়াতে শুরুতে খানিকটা বিরক্তই লাগছিল ঋতুর। কিন্তু সাধারণ কেসটা দ্রুত এমন ভয়ঙ্কর এক রূপ নিল যে তাল রাখতে রীতিমতো হিমশিম খেতে শুরু করল সে। একদিকে তার নিয়োগকর্তা রহস্যময় প্রফেসর, অন্যদিকে ততোধিক রহস্যময় এক কেস, বাধ্য হয়ে সে সাহায্য চাইল সাংবাদিক বন্ধু মৃদুলের কাছে। ঋতু আর মৃদুল জড়িয়ে যেতে শুরু করল এমন এক বীভৎস রহস্যের জালে যেটা সমাধানের জন্য তাদেরকে ডুব দিতে হবে অর্ধ-উন্মাদ একজন মানুষের হারানো স্মৃতির অতলে, যেখানে লুকোনো আছে শতবর্ষের পুরোনো এক হিংস্র রহস্যের চাবিকাঠি।