‘ভোরের আগে’ কি কুঁড়ি নামের সেই আশ্চর্য মেয়ের গল্প, যে তার প্রখর ব্যক্তিত্ব দিয়ে ক্রমশ জয় করে চলেছিল কাছের-দূরের যাবতীয় মানুষের মনের ভূখণ্ড? নাকি এ-কাহিনি মানু সেন নামের সেই প্রবল পরাক্রান্ত অশীতিপর বৃদ্ধের, বেঁচে থাকবার অর্থ জেনে যিনি জয় করেছেন মৃত্যুভয়? অথবা এ-উপন্যাস শুভেন নামের আমেরিকা-প্রবাসী সেই ডাকসাইটে বিজ্ঞানীর, একমাসের ছুটিতে হাজারিবাগে এসে যার জীবনের সমস্ত ধ্যানধারণা বদলে যেতে শুরু করেছিল কুঁড়ি ও মানু সেনের সান্নিধ্যে? সন্দেহ নেই, ‘ভোরের আগে’ এই তিনজনেরই দারুণ কৌতূহলকর টানাপোড়েনের কাহিনি এবং সব ছাপিয়ে বৃহত্তর এক সত্যের উদ্ঘাটন। প্রেমের গল্পের নামে প্যানপ্যানে কাহিনি শোনাতে চাননি বুদ্ধদেব গুহ, ‘ভোরের আগে’ তাই বড়-অর্থে জীবনেরই গল্প। যেমন অপ্রতিরোধ্য এর গল্পের টান, তেমনি জোরালো রঙে জীবন্ত করে ফোটানো এর প্রতিটি চরিত্র। যতটা মুগ্ধ করে, ততটাই ভাবায় ‘ভোরের আগে’।